হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার পাশের বাড়ির মেয়ে পটানো উপায়। বন্ধুরা কষ্ট লাগে খুবই কষ্ট লাগে যখন আপনার পছন্দের হরিণটার পিছনে এত সময় ব্যয় করলেন এবং যাকে এত চোখে চোখে রাখলেন, সে পাত্তা দিল না। অথচ আর সেই হরিণ এখন হিরো আলমের মতো কনো ছেলের সাথে রিলেশন করছে। তো বন্ধুরা কষ্টের দিন শেষ এবং এসব হিরো আলম মার্কা ছেলেদেরও দিন শেষ।
আজ থেকে আপনি আপনার প্রতিবেশী মানে পাশের বাড়ির হরিণকে খুব সহজে পটাতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি আগে পড়তে হবে। তাহলে তো দেরি না করে শুরু করা যাক। তার আগে বলে রাখি আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিচে একটি ভিডিও দিয়ে দিয়েছি। এই ভিডিওতে আপনি ধারা বাহিক ভাবে বিষয়টি বুঝতে পারবেন যে কষ্ট করে পুরো ভিডিওটি দেখুন এবং ভিডিওর কোথাও বুঝতে হলে নিচে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন সেখানে ধাপে ধাপে পুরো বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল নিজে তাকে পছন্দ করেন এবং তাকে পটাতে চাচ্ছেন, তাকে লাইক করেন এবং তার সাথে আপনার সম্পর্ক করতে চান এই ধারণাটা মাথা থেকে একদম মুছে ফেলতে হবে। আপনার মনের মধ্যে মাথার মধ্যে এরকম কোন ধারণা একদম রাখবেন না যে আপনি তাকে পটানোর চেষ্টা করছেন। কেননা বন্ধুরা সাইন্স বলে যে মানুষ মনের মধ্যে কোন পরিকল্পনা করা অথবা মাথায় কোন আইডিয়া যদি ঘোরাফেরা করে তবে সেটা বাহিকভাবে প্রকাশ পায় অর্থাৎ সে বিষয়টি আপনার আচরণের মাধ্যমে অজান্তে প্রকাশ পেয়ে যাবে।
যেমন চোর চুরি করার পর ভাবে এই বুঝি পুলিশ তাকে ধরে ফেলবে। এই বুঝে কেউ বুঝতে পারলে সে চুরি করেছে। আর এমন একটা কল্পনা তার মনের মধ্যে থাকায় পুলিশ বা যে কোন মানুষ খুব সহজে বুঝতে পারে সে চোর। অথবা চুরি করে ওই ব্যক্তিটি কোন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন কোন মেয়েকে পটানোর চিন্তা ধারণা করবেন ঠিক তখন আপনার অজান্তে আপনার আচার-আচরণে তা প্রকাশ পাবে এবং মেয়েটি বুঝতে পারবে আপনি তাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছি। আশা করি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।
বন্ধুরা এবার আপনার দ্বিতীয় কাজ হল যে মেয়েটিকে আপনি পছন্দ করেন বা যাকে পটানোর জন্য আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ছেন, সেই মেয়েটির মাকে আগে আপনি হাত করুন। বিষয়টি আশা করি একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। ধরুন আপনি কোন সেলিব্রেটি যেমন নায়ক নায়িকা অথবা কোন মন্ত্রী সাথে দেখা করতে চান তাহলে আপনাকে কি করতে হবে? অবশ্যই প্রথমে আপনাকে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে তারপর তার সাথে দেখা করতে হয় হবে আর খুব একটা লম্বা প্রসেস সম্পূর্ণ করতে হবে এতে করে আপনার মা আসল লাগতে পারে তার সাথে দেখা করতে।
কিন্তু আপনি যদি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ করে তার বিয়েকে হাত করে নেন তাহলে আপনার কাজ এক ঘন্টায় হয়ে যেতে পারে। তাই মেয়েটিকে পটানোর আগে তার মায়ের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন। কারণ সে বাড়িতে আপনাকে তো প্রায় যাওয়া আসা করতে হবে তাই না। মায়ের কথা এজন্যই বললাম কারণ মা সবসময় বাড়িতে থাকে এবং মায়েদের মন নরম হয়। আর বাবাদের মনটা একটু শক্ত টাইপের হয়ে থাকে। তাদের পটাতে গেলে উল্টো দৌড়ানি খাইতে পারেন। বন্ধুরা কথা বলার মত আরো অনেক কথা ছিল কিন্তু আমি মনে করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
বন্ধুরা যে কোন মেয়েকে পটাতে গেলে সর্বপ্রথম যেটা করতে হয় সেটা হল তার সাথে আগে কথা বলতে হয়। একটু মিল লাগাতে হয়। আর সেজন্য সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল তার কোন হেল্প করা অথবা তার কাছে হেল্প চাওয়া। হেল্প করা যেমন ধরুন আপনার নিচু ক্লাসে যদি মেয়েটি পড়ে থাকে তাহলে তাকে পড়াশোনা হেল্প করে থাকুন। আপনি যেহেতু তার পাশের বাড়িতে থাকেন এজন্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কাজ এটা ওটা সারানো এবং গাছ থেকে এটা ওটা পেড়ে দেওয়া, বাইরে থেকে কিছু এনে দেওয়া ইত্যাদির সব কাজ করে দিয়ে তাকে হেল্প করতে পারবেন। আর এজন্য আপনাকে সব সময় রেডি থাকতে হবে।
এখন যদি এসব কিছুই না হয় তাহলে কি করবেন? সে ক্ষেত্রে আপনি তার কাছ থেকে হেল্প চাইতে পারেন। তাকে বলবেন যে আমি আমার আম্মুকে বা বোনকে সারপ্রাইজ দিবো। আমি একটা শাড়ি বা থ্রি-পিস নিতাম, তো আপনি যদি একটু বলে দিতেন যে মেয়েরা কি কালারের শাড়ি পছন্দ করে। অথবা মেয়েটি যদি আপনার উপর ক্লাসে পড়ালেখা করে থাকে অথবা আপনার থেকে ভালো স্টুডেন্ট হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি তার কাছ থেকে পড়াশোনা শুরু করতে পারেন। মোট কথা আপনার কোন না কোন ভাবে তার কাছ থেকে এর চাইতে হবে। আশা করি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
বন্ধুরা আপনারা জানেন কিনা জানিনা। মেয়েরা এমন কিছু ছেলেদের খুব খুব বেশি পছন্দ করে যে ছেলেরা তাদের কিছু কাজ করতে পারে। তাদের কাজ মানে যেমন হাড়ি পাতিল মাজা, তরকারি কাটার, রান্না করতে পারা, মেয়েদের চুল আঁচড়িয়ে দেওয়া, মেয়েদের মাথায় তেল দেওয়া, কাপড় পরিষ্কার করা ইত্যাদি এমন কিছু কিছু কাজ আর কি এগুলো যে খুবই কঠিন কাজ তা কিন্তু নয় আমাদের মধ্যে অনেক ছেলেরা আছে যারা এসব কাজ করতে পারে। আপনি যদি এই কাজগুলো না করেন তবে এই কাজগুলোর মধ্যে আপনার যে কাজগুলো সব থেকে বেশি সহজ মনে হয় সেগুলো শিখে নিন এবং এই কাজগুলো আপনি বাড়িতে করার অভ্যাস করুন।
বাড়িতে যখন আপনি এসব কাজ করবেন তখন যেন মেয়েটি আপনাকে দেখতে পায় অথবা তার মাধ্যমে জানতে পারে যে আপনি এসব কাজ পারেন। আপনার আর কিছু লাগবে না। আপনি যেকোনো সময় মেয়েটির সাথে কথা বলুন। আমি আপনার সাথে এক 100% শিওর দিয়ে বলতে পারেন এটা আপনার সাথে কথা বলবে। বন্ধুরা আমরা আপনাদের মাঝে যে চারটি পয়েন্ট শেয়ার করতে চারটি বিষয় ১০০% কার্যকরী উপায়। আপনি চাইলে আপনার প্রতিবেশী মেয়েটিকে পটানোর জন্য এর যে কোন একটি অথবা চারটি কৌশলে ব্যবহার করতে পারেন আশা করি আপনি ১০০% সাকসেস হবেন।
পাশের বাড়ির মেয়েকে পটানোর উপায় আর্টিকেটে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন এবং আর্টিকেল সংক্রান্ত কোন মতামত থেকে থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে অথবা আমাদের ফেসবুক পেইজে জানাতে পারেন আমরা দ্রুত আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এ ধরনের আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আর আর্টিকেলটা যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
আপনি চলে এ ধরনের আরো কিছু পোস্ট দেখে নিতে পারেন-