এই কাজটি করলে আপনার গার্লফ্রেন্ডের অভাব হবে না

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এই কাজটি করলে আপনার গার্লফ্রেন্ডের অভাব হবে না। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা গার্লফ্রেন্ড বানাতে পারেন না। আপনারা ঠিক কি কারণে নিজেদের জন্য গার্লফ্রেন্ড বানাতে পারেন না এবং কি কাজটি করলে আপনাদের গার্লফ্রেন্ডের অভাব হবে না সে বিষয়ে আজকে আলোচনা করব।

আমার উপর আপনি এতোটুকু বিশ্বাস রাখতে পারেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও আমার নিচে দিয়ে দিয়েছে আপনারা চাইলে দেখে নিতে পারেন। তাহলে আপনি পুরো বিষয়টি খুব সহজে বুঝতে পারবেন।

এই কাজটি করলে আপনার গার্লফ্রেন্ডের অভাব হবে না

তো সিঙ্গেল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো। আজকের টাইটেল থেকে অলরেডি বুঝে গেছেন যে আজকে আমি কি বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আজকে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করার আগে একটা কথা আমি বলতে চাই। আজকে আমি আপনাদেরকে যে টিপসটি শেয়ার করব। সেটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। আজকে আমি জোর করে বলতে চাই আপনি পুরো আর্টিকেলটি যদি পড়েন এবং এটাকে সিরিয়াস ভাবে নেন। সেই অনুযায়ী যদি কাজ করেন। তাদের ১০০% গ্যারান্টি দিলাম খুব শীঘ্রই আপনার গার্লফ্রেন্ড জুটবে।

কাজটি করলে গার্লফ্রেন্ডের অভাব হবে না

যাইহোক অনেক তো বকবক করা হলো এবার কাজের কথায় আসা যাক যে ছেলেগুলো কিছুতে গার্লফ্রেন্ড বানাতে পারেনা। এসব ছেলেগুলোর মাঝে আমি একটা কমন জিনিস লক্ষ্য করেছি। আর সেটা হলো এরা অ্যাক্টিভ না। এখানে আমি একটিভ না বলতে বুঝিয়েছি। এরা ফেসবুকে ২৪ ঘন্টা অ্যাক্টিভ থাকে এটা বোঝাতে চাচ্ছি না এবং আমি যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হল- আপনি সেই জায়গায় একটিভ থাকেন যেখানে মেয়েদের আনাগোনা বেশি।

যেখানে গেলে দু একটা মেয়ের সাথে পরিচিত হওয়া সম্ভাবনা থাকে এবং যেখানে কোন মেয়ের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পেতে পারে। এসব জায়গা তো আপনি কখনো যাননি বরং এসব জায়গায় আপনি খুব কমই যান অথবা এসব জায়গা থেকে আপনি দূরে থাকেন ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আবার এসব সিঙ্গেল ছেলেদের মাঝে ৪০% ছেলে এমন আছে যারা ঘর থেকে বের হয় না। তো আপনি বাইরে বের হবেন না, যেখানে মেয়েদের আনাগোনা বেশি সেখানে যাবে না, তাদের সাথে মিশতে চাইবেন না এবং অপরিচিত মেয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করবেন না। সারাদিন কোলবালিশ নিয়ে পড়ে থাকবেন তাহলে গার্লফ্রেন্ড কি করে জোটবে।কোলবালিশ ফেটে বের হবে কি?

আপনি ভাবতেছেন আপনার বডি স্প্রে ইউজ করে রুমের মাঝে শুয়ে থাকবেন আর মেয়েরা সেই গন্ধে আপনার কাছে ছুটি আসবে। এসব আজব চিন্তা এখনই বাদ দিয়ে দিন। কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয় অথবা কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। সুতরাং গার্লফ্রেন্ড পেতে গেলে তো কষ্ট করতে হবে। অবশ্যই নিজের অভ্যাসের মাঝে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। আগে আপনি বাইরে কম বের হতে না বা বাইরে ঘোরাফেরা করতে না ,আপনার ভালো লাগতো না, তাতে কি এখন একটু অভ্যাস করুন।

এই কাজটি করলে আপনার গার্লফ্রেন্ডের অভাব হবে না

মেয়েদের সাথে কথা বলতে লজ্জা লাগে আপনার আশেপাশে মেয়ে এবং আপনার রিলেটেড মেয়েদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে।দেখা হলে হাই-হ্যালো করুন, কেমন আছেন, পড়াশোনা কেমন চলছে, যা মন চায় কিছু একটা জিজ্ঞাসা করুন। এত চিন্তা করার আপনার কোন কারণ নেই মেয়েরা আপনাকে জুতা পিটা করবে না বরং তারা খুশি হবে। আর এতে আপনার কিছু হোক বা না হোক মেয়েদের সাথে কথা বলার অভ্যাসটা তো হবে। মেয়েদের সাথে কথা বলতে যে লজ্জা রাখে সেটা কেটে যাবে।

তখন আপনি চাইলে খুব সহজে মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারবেন। আপনাকে একটা কথা বলি, কথাটা অবশ্যই মনে রাখবেন। আপনি যত বেশি মেয়েদের সাথে কথা বলবেন আপনার তত বেশি মেয়েদের সাথে প্রেমের কথা বলার অভ্যাস হবে। আর আপনার ভিতরে মেয়ে পটানো ট্যালেন্টটা তত বেশি বাড়তে থাকবে । আপনি এমন একটা ছেলে খুঁজে পাবেন না যে ছেলেটি বাইরে ঘোরাফেরা করে এবং অনেক মেয়েদের সাথে মেলামেশা করে কিন্তু তার গার্লফ্রেন্ডের অভাব।

এমনটা কোনদিন হয়নি আর বিশ্বাস করুন এমনটা কোনদিন হবেও না।  তাই আপনি যদি দশটি অপরিচিত মেয়ের সাথে পরিচিত হন তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিলাম এর মাঝে নিম্নে মেয়ে হলেও তিনটি মেয়ের সাথে আপনার ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভাবনা আছে। এর মাঝে আবার নিম্ন হলেও একটি মেয়ের সাথে আপনার রিলেশন হওয়া সম্ভাবনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই বাস্তবতা। 

যদি আপনি মেয়েদের সাথে নিজে কথা বলেন আগ্রহ নিয়ে এবং মেয়েদের সাথে মজার মজার কথা বলতে পারেন। এভাবে আপনি যদি মেয়েদের সাথে পরিচিত হন এবং যত বেশি মেয়েদের সাথে মিশবেন, সেখানে মেয়েদের সাথে আনাগোনা সেখানে যত চলাফেরা করবেন, আপনার আপনার গার্লফ্রেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি বেড়ে যাবে। বিশ্বাস না হলে আপনি আমার কথামতো একবার কাজ করেই দেখুন না।

আর্টিকেটে যদি ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং এই ধরনের আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment