হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছো আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব নিজের বান্ধবীকে পটানোর উপায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নিজেকে বান্ধবীকে পছন্দ করে থাকেন কিন্তু কি করে নিজের বান্ধবী পটাবেন তা জানেন না। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে নিজের বান্ধবীকে ভালোবেসে থাকল বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয়ে তাকে কিছু বলতে পারছেন না। আপনাদের সমস্যার সমাধানের জন্য আজকে আমরা এই আর্টিকেলটি শেয়ার করেছি। তাই কষ্ট করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আমরা আপনাদের মাঝেমধ্যে তিনটি কৌশল শেয়ার করব যেগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজে বন্ধুত্ব সম্পর্ক নষ্ট না করে আপনার ভালবাসার কথাটি আপনার বান্ধবীকে বলতে পারবেন। আর এতে করে আপনাদের মধ্যকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হবে না। আর আপনি খুব সহজে এই কৌশল গুলো কাজে লাগিয়ে আপনার বান্ধবীকে পটিয়ে ফেলতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিজে একটি ভিডিও দিয়ে দিয়েছি। আপনি চাইলে পুরো ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন। ভিডিওতে বান্ধবীকে পটানোর উপায় সংক্রান্ত বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
বান্ধবীকে পটানোর উপায়
তাই কষ্ট করে পুরো ভিডিওটি দেখুন। এছাড়া যদি ভিডিওর কথা বুঝতে সমস্যা হয়। তাহলে নিচে এ বিষয়ে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে পুরো আর্টিকেল নিচে পড়ে নিতে পারেন। আর্টিকেল টি নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন এবং এই ধরনের আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। তাহলে যখন আর দেরি না করে শুরু করি।
বান্ধবীকে পটানোর উপায়
প্রতিটি ছেলে জীবনে একবার কোন না কোন ভাবে নিজের বান্ধবীর প্রেমে পড়ে থাকেন। কেননা একটি মেয়ে আপনার যত ভালো বান্ধবী হতে থাকবে ,তত তার সাথে আপনার এমন একটা সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকবে যে, একটা সময় দেখবেন আপনি না চাইলেও তার প্রেমে পড়ে যাবেন। তাই যে ছেলে আজও কোন বান্ধবীর উপর ক্রাশ খাইনি বা কোন বান্ধবীর প্রেমে পড়েনি, আমি বলব তার জীবনে আজও কোন বান্ধবী আসেনি। আর হ্যাঁ সে তার জীবনে অবশ্যই একটা বড় জিনিস মিস করে গিয়েছে। কারণ বান্ধবী সাথে রিলেশন হোক বা না হোক কিন্তু বান্ধবীর প্রেমে পড়ার মজাটাই অন্যরকম।
আপনি জীবনে তিনটা মেয়ের সাথে রিলেশন করে মজা পাবেন। একটা বান্ধবীর সাথে রিলেশন রিলেশন না করে সেই মজা পাওয়ার সম্ভব। তাহলে যাই হোক মূল কথা এবার ফিরে আসা যাক। আপনি কি জীবনে আপনার কোন বান্ধবীর উপর ক্রাশ খেয়েছেন? অথবা আপনি আপনার কোন বান্ধবীকে পটানোর চেষ্টা করছেন কিন্তু পটাতে পারছেন না। অথবা আপনি আপনার বান্ধবীকে বিভিন্ন সময় প্রপোজ করছেন বাট আপনার বান্ধবী রাজি হচ্ছে না?। তাহলে অবশ্য আপনাকে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে হবে।
বান্ধবীকে পটানোর উপায়
এই আর্টিকেল মূলত আপনাদের মাঝে বান্ধবীকে পটানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই আর্টিকেলে মূলত আমরা আপনাদের মাঝে তিনটি পয়েন্ট শেখাবো যেগুলো ফলো করলে খুব সহজে যেকোন বান্ধবীকে খুব সহজে কাবু করা সম্ভব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
নাম্বার ১ বন্ধুত্বের আন্ডারে অতিরিক্ত সার্ভিস দেওয়া বন্ধ করুন
বর্তমানে আপনার বান্ধবী আপনাকে শুধুমাত্র বন্ধু হিসেবেই দেখে। তার মানে এখন আপনি তাকে যা যা সার্ভিস দেন। মেয়েটি কিন্তু সেগুলো বন্ধুর প্যাকেজের আন্ডারে পাচ্ছে। কিন্তু এখন আপনি তার বয়ফ্রেন্ড হতে চাচ্ছেন। তার মানে আপনি মেয়েটিকে বন্ধু প্যাকেজ থেকে বয়ফ্রেন্ড প্যাকেজ নিতে বলতেছেন। কিন্তু আপনিতো বন্ধু প্যাকেজ এ আপনি মেয়েটিকে বয়ফ্রেন্ডের প্যাকেজের সব ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকেন।
তাহলে মেয়েদের কি এমন দায় পড়েছে বয়ফ্রেন্ডের প্যাকেজ এক্টিভ করে আলগা ঝামেলা বাড়ানোর। তাই প্লিজ, ফ্রিতেঐরকম অতিরিক্ত সার্ভিস দেওয়া বন্ধ করুন । আপনার পছন্দের বন্ধু প্যাকেজে থাকা মেয়েটিকে সবসময় স্পেশাল কিছু সার্ভিস থেকে বঞ্চিত করুন এবং মেয়েটিকে সবসময় বোঝানোর চেষ্টা করুন সে বন্ধু প্যাকেজে আছে। তাই সে এসব স্পেশাল সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু সে যদি বয়ফ্রেন্ড প্যাকেট চালু করে তাহলে এসব স্পেশাল সার্ভিসগুলো তো পাবে সাথে আরো অনেক সার্ভিস পাবে। যেগুলো সে এখন পাচ্ছে না। তাহলে দেখবেন মেয়ে বয়ফ্রেন্ড প্যাকেজ চালু করতে হুশ পাবে না।
বন্ধু হয়ে বয়ফ্রেন্ডের সব দায়িত্ব পালন করতেছেন সব সার্ভিসে মেয়েটিকে দিয়ে দিচ্ছেন। তো বয়ফ্রেন্ড হয়ে কি এমন করবেন যার জন্য মেয়েটি আপনাকে বয় ফ্রেন্ড বানিয়ে আলগা ঝামেলা বাড়াবে। তাই এখন থেকে এসব সার্ভিস বন্ধ করে দিন।
নাম্বার ২ নিজের বান্ধবীকে বিষয়টি খেয়াল করাতে হবে
বান্ধবীরা প্রায় সময় নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বন্ধুদের সীমা পার হয়ে বয়ফ্রেন্ডের সীমানায় ঢুকে পড়ে এবং নিজের স্বার্থ উদ্ধার হলে আবার বন্ধুত্বের সীমানায় ফিরে আসে। কিন্তু তারা কখন যে বন্ধুত্বের সীমানায় পার হয়ে যায় আবার কখন যে ফিরে আসে এটা তারা নিজেরাই কখনো খেয়াল করে না। যেটা ছেলেরা কিন্তু এগুলো ঠিকই খেয়াল করে। আপনার বান্ধবী আপনাকে মাঝ রাতে মেসেজ করবে দোস্ত কেন জানি খুব একা লাগতেছে। আপনার বান্ধবীর কথা বলার জন্য নিজের অজান্তে আপনার হাত ধরে, আপনার গায়ে হাত দেবে। আপনার বান্ধবীর নতুন কোন সেলফি তুললে সেটা আপনাকে দেখানোর চলে নিজের অজান্তে আপনাকে আপনাকেনিজের সেক্সের লোলুক, সেক্সি ফিগার এবং নিজের কিউটনেস দেখাবে।
আপনার সাথে মজার ছেলে হাজারটা দুষ্টু কথা বলে ফেলবে। অথচ সে কখনো এসব বিষয়ে খেয়ালই করবে না এবং সে ভাববে না, যে সে কি করতেছে। আসলে এগুলো বন্ধুত্বের পার করে বয়ফ্রেন্ডের সীমানা চলে গেছে। কিন্তু আপনি এসব বিষয় ঠিকই খেয়াল করেন এবং ধীরে ধীরে আপনার বান্ধবীর প্রেমে পড়ে যান। তাই এখন থেকে শুধুমাত্র এগুলো আপনি একা নন আপনার বান্ধবী তো খেয়াল করাতে হবে।
তার মস্তিষ্কে এগুলো ঢুকিয়ে দিতে হবে। যাতে করে আপনার সাথে এমন কিছু করার সময় আপনার মত তার মনে একটা ফিলিংস চলে আসে। আর এই কাজটি আপনি নানাভাবে করতে পারেন। যেমন মনে করুন আপনার বান্ধবী আপনার হাত ধরেছে। ওকে ভালো কথা তখন আপনি তাকে মজা করে বলতে পারেন, তুই হাত ধরলে কেন জানি একটা গার্লফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড ফিলিংস চলে আসে। ব্যাস আপনার কাজ হয়ে গেছে।
আবার ধরুন আপনার বান্ধবী আপনাকে এক জায়গায় দেখা করার কথা বলে আধাঘন্টা দাঁড় করিয়ে রেখে তারপর আসলো। তখন আপনি যাকে মজা করে বলতে পারেন, আমি এখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেছি আর ভাবতেছি মানুষ তার গার্লফ্রয়েন্ড এর জন্যও মনে হয় এভাবে অপেক্ষা করে না। তাহলে দেখবেন আপনার কাজ হয়ে গেছে। আপনার বান্ধবী যখন আপনার সাথে রাত জেগে কথা বলবে। তখন আপনি তাকে মজা করে বলতে পারেন, আমরা যেভাবে রাত জেগে কথা বলি যে কেউ মনে করবে আমরা বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড। ব্যাস দেখবেন কাজ হয়ে গিয়েছে।
এভাবে আপনি আপনার কাজও করে ফেলেন এবং আপনার বান্ধবীর মাইন্ডে এই কথা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়ে যাবে যে, সে যা যা করতেছে অথবা আপনি যা যা করতেছেন। এগুলো কেবলমাত্র একজন বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডের মাঝে হয়ে থাকে। ব্যাস আপনার কাজ শেষ এবার চুপ করে বসে থাকুন আমি দেখতে থাকুন মেয়েটির মনে আপনার মত ফিলিংস তৈরি হওয়া শুরু করেছে এবং সেও আস্তে আস্তে আপনার প্রেমে পড়তে শুরু করেছে।
নাম্বার ৩ বান্ধবীকে প্রপোজ করার নিয়ম
ছেলেরা যখন তার বান্ধবীকে প্রপোজ করে থাকে, তখন ৯৫ পার্সেন্ট ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মেয়েটি আপনাকে বলবে- সরি দোস্ত আমি তোকে কখনো এমন চোখে দেখিনি। আমি তোকে শুধুমাত্র বন্ধু হিসেবে মনে করি। তোর প্রতি আমার মনে অন্য কোন ফিলিংস নাই। ব্যাস বাঁশ টা খেয়ে যাবেন। আপনি যাকে ছয় মাসেরও বেশি সময় গার্লফ্রেন্ডের চোখে দেখে আসতেছেন। অথচ সে নাকি আপনাকে কখনো বয়ফ্রেন্ডের চোখে দেখেইনি। তাই আমি বলব এর পিছনে পুরো দোষটা কিন্তু আপনার।
কেননা আপনি শুধুমাত্র তাকে মনে মনেই ভালোবেসে গিয়েছেন তার সাথে কখনো লাইন মারেননি এবং তার সাথে কোন ধরনের ফ্লাটিং করেননি। শুধু তাই না তাকে কখনো মজার চলে গার্লফ্রেন্ড বলেননি তাহলে সে কেন আপনাকে বয় ফ্রেন্ড মনে করবে। তার সাথে বয়ফ্রেন্ডের মতো কোনো আচরণ করবেন না। আর আপনি মনে মনে আশা করবেন, আপনি তাকে প্রপোজ করলে সে সেটা একসেপ্ট করবে।
আপনি তাকে প্রপোজ করলে সে আপনাকে মুহুর্তের মাঝে বয় ফ্রেন্ড হিসেবে মেনে নেবে? আপনি তাকে প্রপোজ করলে সঙ্গে সঙ্গে তার মনে আপনার প্রতি ফিলিংস তৈরি হবে? নারে ভাই, কারও প্রতি ফিলিংস একদিনে তৈরি হয় না, অনেক সময় লাগে। আপনার মনে তার জন্য যে ফিলিংসটা রয়েছে সেটা তো আর একদিনে তৈরি হয়নি অনেকদিন সময় লেগেছে। ঠিক তেমনি আপনার প্রতি তার ফিলিংস একদিনে তৈরি হবে না।
তাই বান্ধবীকে পটাতে চাইলে ভালোবাসা আপনার ভিতরের রেখে লাভ নেই। সেগুলো বাইরে আনতে হবে। আপনার আর যারা আচরণ, কথাবার্তা ইত্যাদির মাধ্যমে একটু একটু করে সেগুলো প্রকাশ করতে হবে। তাকে ধীরে ধীরে একটু একটু করে অনুভব করাতে হবে যে আপনি তাকে ভালবাসেন। আপনি শুধুমাত্র তাকে বান্ধবীর চোখে দেখেন না। অন্য চোখেও দেখেন। তাহলে আপনাকে আর কোনদিন এই কথা শুনতে হবে না যে সে শুধুমাত্র আপনাকে বন্ধুর নজরে দেখে।
উপরে আমরা আপনাদের মাঝে যে কয়টি কৌশল শেয়ার করেছি। তার মধ্যে কোনটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিবেন। উপরে আমরা আপনাদের মাঝে যে কয়টি কৌশল শেয়ার করেছি আপনি চাইলে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন আশা করি আপনি ১০০ পার্সেন্ট সাকসেস হবেন এবং আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
এ ধরনের আরো পোস্ট আপনি যারে দেখে নিতে পারেন-