হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যে কোন পরিস্থিতিতে মেয়েদের কে হাসানোর কৌশল শিখে নিন। যখন নিজেদের মধ্যে কেউ মন খারাপ করে থাকে তখন সবারই খারাপ লাগে। তখন তার মন খারাপ দেখে আপনারও খারাপ লাগে। তাই তখন আপনি চেষ্টা করেন কিভাবে তাকে হাসানো যায়। আর আজ আমরা আপনাদের এই ধরনের কিছু টিপস এন্ড ট্রিক শেয়ার করব।
আর যদি আপনার আগে থেকে গার্লফ্রেন্ড থেকে থাকে তাহলে সে আপনার সাথে কথা বলে এত মজা পাবে, আপনাদের আলাপ এতটা জমে উঠবে যে আপনাদের প্রেম একেবারে জমে ক্ষীর হয়ে যাবে। তো চলুন আর বকবক না করে কাজের কথা আসা যাক। তার আগে বলার আগে আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিচে একটি ভিডিও দিয়ে দিয়েছি সেখানে কিভাবে আপনি খুব সহজে মেয়েদেরকে হাসাতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন।
আপনি যখন মজার মজার কথা পুরোদমে বলতে শিখে যাবেন তখন দেখবেন আপনার লাইফটাই পুরোদমে চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। তখন আপনি আপনার স্কুল কলেজ অফিস এমন কি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। তখন আপনাকে ছাড়া তাদের আর কোন আড্ডায় জমে উঠবে না। আপনি কখনো তাদের মাঝে উপস্থিত না থাকলে তখন সবাই আপনাকে মিস করবে। এগুলো তো গেল শুকনো আলাপ।
এবার চলুন আসা যাক মধুর আলাপ নিয়ে। তো বন্ধুরা আপনি যদি একবার মজার মজার কথা বলে কোন মেয়েকে খুশি করতে পারেন, তখন মেয়েরা তো আপনার সাথে একবার কথা বলে এতটা মজা পাবে যে মেয়েরা নিজে খুঁজে তোমার সাথে বারবার কথা বলতে চাইবে। কথা তো শুনে হয়তো আপনি অবাক হচ্ছেন। অবাক হওয়ার কিছু নেই আপনি যদি হাসানোর টেকনিক শিখে জযান হবে শুধুমাত্র বন্ধু মহলে নয় আপনি মেয়েদেরকে খুব সহজে কাবু করতে পারবেন। আমি সত্যি বলছি মেয়েদের লাইন লেগে যাবে যদি আপনি হাসানোর কৌশল একবার খুব ভালোভাবে শিখে যেতে পারেন।
অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতির সাথে কোন কোন জিনিসের মিল আছে সেগুলো খুজে বের করে সেগুলোর সাথে বর্তমান পরিস্থিতিটাকে হাস্যকর ভাবে তুলনা করা। আমি জানি কথাটি অনেকের মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। তাহলে চলুন পুরো বিষয়টা আপনাদের মাথায় ঢোকানোর জন্য একটি উদাহরণ দিয়ে আলোচনা করা যাক। মনে করুন আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করার জন্য এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে বহুক্ষণ ধরে ওয়েট করছেন।আপনার গার্লফ্রেন্ড সে সময় আসার কথা বলে আধা ঘন্টা বা ১ ঘন্টা লেট করে আসলো।
চাইলে এ ব্যাপারটাকে নিয়ে কিছু মজা করে বলে আপনার গার্লফ্রেন্ডকে হাসাতে পারেন। তো আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হল ভাবতে হবে আপনার পরিস্থিতিটা কি ছিল। উত্তর- নানা রকম আসতে পারে যেমন আপনি বহুক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে ছিলেন অথবা আপনি বহুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবার আপনার কাজ হল আপনি এক দুটির মধ্যে কোন পরিস্থিতির উপরে মজার কথা তৈরি করবেন সেটা বেছে নেওয়া।
ধরুন আপনি বহুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এটাই বেছে নিলেন। এবার আপনাকে ভাবতে হবে। বহুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকা এই পরিস্থিতির সাথে কি কি জিনিসের মিল আছে। সেগুলো এক এক করে যতগুলো মাথায় আসে সেগুলো খুজে বের করা। তো বহুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকে এই জিনিসের সাথে ধরুন মিল আছে, এমন জিনিস হিসেবে আমার মাথায় আসতেছে মোবাইল টাওয়ার বা কারেন্টের কাম্বা বা গাছ দারোয়ান ট্রাফিক পুলিশ ইত্যাদি ইত্যাদি।
এভাবে আপনার মাথায় যতগুলো আসবে তার মাঝখান থেকে আপনাকে একটা বেছে নিতে হবে এবং যেটির সাহায্যে আপনি বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলনা করবেন। তো ধরুন আপনি বেছে নিলেন ট্রাফিক পুলিশ। তো এটার সাথে এবার আপনার বর্তমান পরিস্থিতি কে এমন ভাবে তুলনা করতে হবে যাতে করে সেটা আপনার বর্তমান পরিস্থিতির সাথে একেবারে হুবহু মিলে যায় এবং সেটা শুনতে হাস্যকর লাগে।
যেমন আপনি এখানে আপনার গার্লফ্রেন্ডকে এগুলো বলতে পারেন- তোমার জন্য আমি আধঘন্টা থেকে এই রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের মত দাঁড়িয়ে আছে। অথবা আপনি চাইলে এটাও বলতে পারেন যতক্ষণ থেকে এখানে ট্রাফিক পুলিশের মত দাঁড়িয়ে আছি শুধু হাতে একটা ডান্ডা থাকলে লোকে আমাকে ট্রাফিক পুলিশ মনে করত।
তো এটা শোনার পর আপনার গার্লফ্রেন্ড অবশ্যই হাসবে। তো এভাবে আপনি চাইলে নিজের মাথা কাটিয়ে এখানে অন্য কিছু বলতে পারেন। ব্যাস। আপনার কাজ হয়ে গেল। এই কৌশল কাজে লাগিয়ে আপনি যে কোন পরিস্থিতির উপর মজার বা হাসির কথা বলতে পারেন। কি আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চলুন এই কৌশলটিকে অন্য পরিচিতির উপর ট্রাই করে দেখে কাজ করে কিনা?
তো এবার ধরে নেওয়া যাক আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার সাথে দেখা করতে এসে একটু সময় দিতে না দিতে চলে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করতেছে। এবার এই পরিস্থিতির ওপর মজার কোন কথা বলবেন তাহলে চলুন কৌশলটাকে কাজে লাগাই। তো আপনাকে প্রথমে ভাবতে হবে পরিস্থিতিটা কি? তো নিশ্চয়ই উত্তরটা আসবে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করা। তো এবার আপনাকে ভাবতে হবে। তাড়াহুড়ো জিনিসের সাথে কোন জিনিসের মিল আছে সেগুলো আপনার খুঁজে বের করা এবং ধরে নিন আপনার মাথায় আসতে পারে পরীক্ষার কথা আই মিন পরীক্ষা হল উপস্থিত হওয়ার জন্য যেমন ছাত্ররা তাড়াহুড়ো করে।
এছাড়াও তাড়াহুড়ো সাথে আপনি চাইলে ট্রেন ধরার বিষয়টিও তুলনা করতে পারেন। অর্থাৎ কেউ কোথাও ট্রেনে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটলে নির্দিষ্ট সময় যাওয়া মাঝে উপস্থিত হওয়ার চিন্তায় তাড়াহুড়ো করে। আবার আপনার মাথায় এটাও আসতে পারে টয়লেটে যাওয়ার কথা অর্থাৎ বেশি পরিমাণে চাপ আসবে সে সময় মানুষ টয়লেটে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে আপনার মাথায় যতগুলো কথা আসবে সবগুলো দিয়ে মজার কথা বানানোর সম্ভব।
কিন্তু আপনার তো দরকার একটি তাই এভাবে আপনার মাথায় যতগুলো আসবে তার মাঝ থেকে একটাকে বেছে নিতে হবে যেটা দিয়ে আপনি সুন্দর মজার কথা তৈরি করবেন।
তোর ধরে নিলাম আপনি বেছে নিলেন পরীক্ষা দিতে যাওয়া। এবার এটার সাথে বর্তমান পরিস্থিতিকে এমন ভাবে তুলনা করতে হবে যাতে করে সেটা আপনার বর্তমান পরিস্থিতির সাথে একেবারে হুবহু মিলে যায় এবং সেটা শুনতে অনেক হাস্যকর লাগে। যেমন আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডকে বলতে পারেন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছ নাকি? এত তাড়াহুড়ো করতেছ কেন? এটা শুনে আপনার গার্লফ্রেন্ড অনেক মজা পাবে। পরীক্ষিত দিতে যাওয়া এটার বদলে ট্রেন ধরাটা বেছে নিতে পারেন। তাহলে এটা বলতে পারেন। ট্রেন ধরতে যাবে নাকি এত তাড়াহুড়ো করতেছ কেন? তো এটা শুনে সে অনেক মজা পাবে?
এই পরিস্থিতি খাটিয়ে আপনি খুব সহজেই মাত্র তিনটি স্টেপ কমপ্লিট করে সবাইকে হাসাতে পারবেন আর স্টেপ গুলো হল-
এভাবে চাইলে আপনি আরো অনেক মজার মজার কথা বলতে পারেন। যেগুলো বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে শুধুমাত্র আপনার মাথা থেকে একটু খাটাতে হবে। আর যখন আপনি এভাবে মেয়েদেরকে হাসাতে পারবেন তখন মেয়েরা আপনার পেছনে প্রেম করার জন্য লাইন লাগিয়ে দেবে অথবা আপনি চাইলে বন্ধু মনে হলেও এভাবে হাসাতে পারেন। এতে করে বন্ধু মহলে আপনার গুরুত্ব বেড়ে যাবে। আশা করি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন আর আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
