মেয়ে পটানোর ৫টি কৌশল ১০০% কাজ করবে

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যাকে পছন্দ হবে তার সাথেই রিলেশন করতে পারবেন – এমন য়ে পটানোর ৫টি কৌশল। এই পাঁচটি টেকনিক জানলে যাকে আপনার পছন্দ হবে, তার সাথে রিলেশন করতে পারবেন।  এমন হয় যদি আপনার পছন্দ হবে তার সাথে আপনি রিলেশন করতে পারেন বা তাকেই পেতে পারেন কি ভালোই তো হয় তাইনা।  ভাবতাছেন এটা কি সত্যি সম্ভব? আমি বলব হ্যাঁ সম্ভব, আপনি ছেলে হোন বা মেয়ে হন। এমন পাঁচটি বিষয় আছে যেগুলো আপনি জানলে বা ফলো করলে 95% আপনি সাকসেস হতে পারবেন। সেই বিষয়গুলো কি কি তা নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি একটু লম্বা হবে। তাই সময় নষ্ট না করে চলুন সেই পয়েন্ট গুলোতে যাওয়া যাক।

তার আগে বলে রাখি আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিজে একটি ভিডিও এড করে দিয়েছি। যাতে করে আপনার খুব সহজে পুরো বিষয়টি বুঝতে পারেন। এছাড়াও আপনাদের যদি বুঝতে কোথাও সমস্যা হয় তবে আমরা নিজে পুরো বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছে আপনি চাইলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। এছাড়া পোস্ট অথবা আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকলে আপনি কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা দ্রুত আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।

মেয়ে পটানোর ৫টি কৌশল ১০০% কাজ করবে


নাম্বার ওয়ান :- ধরেন কেউ সিঙ্গেল আছে তার মানচিত্র খালি আছে। আপনাকে সিটে বসতে গেলে তো হয়ে গেল। আরে মামা এর মানে হল আর নির্বাচনে হেরে যান কারণ আপনি জানেন না যে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী আছে কিনা। আরে মামা যে মেয়ে রিলেশন করে না কারো সাথে, অবশ্যই তার এমন কোন ছেলে ফ্রেন্ড বা বান্ধবী অবশ্যই আছে যার সাথে সে বয় ফ্রেন্ডের মত সুখ দুঃখের আলাপ করে বয় ফ্রেন্ডের মত নিয়মিত কথা বলে মজা করে দুষ্টুমি করে।

আলাপ করে তার সকল ফিলিংস গুলো মনের কথাগুলো তার সাথে শেয়ার করে। যদিও তাদের মাঝেও তো লাভ রিলেশন না। বাট সেই মানুষটি যেহেতু বয়ফ্রেন্ডের জায়গাটা দখল করে আছে। তাই  সেই ব্যক্তিকে কিন্তু কোনো না কোনো ভাবে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী যার কারণে আপনি মেয়েটিকে সহজে পটাতে পারেন না। এজন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হল-

 প্রথমে আপনাকে ভেবে নিতে হবে আপনার প্রতিদ্বন্দী আছে।  সেভাবে মাঠে নামতে হবে।  তবে ইলেকশনে জিততে পারবেন।


নাম্বার টু :- আপনার মনোভাব যদি এমন হয় যে কাউকে আপনার পছন্দ হলো। আপনি সোজা তাকে প্রপোজ করে দিলেন। রাজি হহলে হলো না হলে হলোনা কাহিনী শেষ। অন্য কারো পিছু লেগে পড়বেন। তাহলে সেটা অন্য কথা কিন্তু প্রসঙ্গ যখন আপনি যাকে পছন্দ করবেন তাকে যেন পটাতে পারেন, তার সাথে যেন রিলেশন করতে পারেন, তাহলে সেক্ষেত্রে সেরা কৌশল হলো কারো সাথে পরিচিত হওয়া থেকে শুরু করে কাউকে প্রপোজ করার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুতেই একদম তাড়াহুড়ো করা যাবে না। কারণ যত তাড়াহুড়ো করে খেলতে যাবেন তত আপনার পারফরম্যান্স খারাপ হবে। সেই সাথে আপনি ছক্কা মারতে গেলে আপনার বোর্ড আউট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

স্কুলের রাজি না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তাই আমি তার সাথে খুব ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তারপর তাকে প্রপোজ করুন। তাহলে দেখবেন সে আপনার প্রপোজ সহজে না করতে পারবে না। ফলে আপনার প্রপোজ একসেপ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে।


নাম্বার থ্রি :- যেসব ছেলেদের গার্লফ্রেন্ড আছে তাদের সাথে আপনি কথা বললে বা এসব বিষয় জানতে চাইলে আপনি দেখবেন, তাদের মাঝে 56 জনের কাহিনী এমন যে তার গার্লফ্রেন্ড তার প্রথম প্রপোজ রিজেক্ট করেছিল। একাধিকবার প্রপোজ করার পরেও রাজি হচ্ছিল না। অথচ দেখুন আজ সেই মেয়েটি তার গার্লফ্রেন্ড। 

 আপনি ছেলে হোন বা মেয়ে হন কেউ আপনার প্রপোজ একবার বারবার রিজেক্ট করতে পারে। তার মানে এই নয় যে দুনিয়া উল্টে যাবে। আপনারা এটা মনে করে নেন যে আপনারা যাই করেন না কেন, তবু সে আর কখনোই রাজি হবে না, কোনো কিছুতেই পটবে না, আর ভালো লাগে না। এটা আসলে আপনাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত। আপনার যাকে ভালবাসেন তার সাথে যদি আপনার সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকে তবে কোন না কোনদিন আপনার কোনো ভালো একটি দিক তার অবশ্যই নজার পড়বে এবং আপনাকে তার ভালো শুরু করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই কেউ আপনার প্রপোজ  রাজি না হলে মোটেও হাল ছাড়বেন না। সিরিয়াল থেকে কেটে পড়বেন না। তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চালিয়ে যান এবং প্রতিনিয়ত সুযোগ বুঝে আপনার ভালোবাসা গুলোর নাম।

95 %সম্ভাবনা একদিন না একদিন আপনার প্রতি তার ভালো লাগা সৃষ্টি হবে।


নাম্বার ফোর :- কাউকে আপনার ভালো লেগে গেল। আপনি তার সাথে রিলেশন করতে চাচ্ছেন। কিন্তু যখনই শোনেন যে সে অন্য কারো সাথে রিলেশন করে। তখন সঙ্গে সঙ্গে আপনার সকল এনার্জি শেষ হয়ে যায়। আপনি তাকে পটানোর কথা আর স্বপ্নেও কল্পনা করেন না। ক্যান রে ভাই? কেউ রিলেশন করতেছে তার মানে এই নয় যে তাকে আর কেউ হারাতে পারবে না বা একটা রিলেশন থাকা অবস্থায় অন্য কারো সাথে রিলেশনে যাবে না। কাউকে মন থেকে একদম সেইভাবে ভালো লেগে যায় তাহলে সে অন্য কারো সাথে রিলেশন আছে কীনা? এগুলো নিয়ে মোটেও ভাববেন না। আপনি আপনার মত করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। সে যার সাথে রিলেশন আছে তার চেয়ে আপনার পারফরম্যান্স ভালো হলে, আপনার ভালবাসার ওজন বেশি হলে, সে আপনার ওপর দুর্বল হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে আপনার সাথে রিলেশনে জড়িয়ে যাবে, এটাই বাস্তবতা। আপনার আশেপাশে এমন অনেক ছেলে আছে চেহারা তেমন ভালোনা মেয়ে পটানোর ওস্তাদ সে যেখানেই যায় কোন মেয়েকে তার ভালো লাগলে কেমনে জানি চট করে পটিয়ে ফেলে।

 আপনার মাঝে পার্থক্য কি জানেন কনফিডেন্সের। মানে নিজের উপর নিজের আত্মবিশ্বাস। কাউকে ভালো লাগে তখন সেটা কনফার্ম থাকে যে যেভাবেই হোক সে পাবে আর যে কাউকে পটানোর জন্য জাস্ট এই চট্ট ভাবনাটুকু ই যথেষ্ট। নিজের উপর নিজের কনফিডেন্স তাই যথে।ষ্ট তাহলে নিজের মনোবল ঠিক রাখবেন, সিদ্ধান্ত নিবেন, আপনি যেভাবেই হোক তাকে পটিয়ে ছাড়বেন, আমি কথা দিলাম আপনার জাস্ট এই মামলাটির জন্য আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা 95 শতাংশ বেড়ে যাবে।


মেয়ে পটানোর ৫টি কৌশল

আজকে আর্টিকেলটি এই পর্যন্ত। আমি আশা করি উপরের য়ে পটানোর ৫টি কৌশল বিষয়ে ফলো করলে- যাকে পছন্দ হবে তার সাথেই রিলেশন করতে পারবেন। বাট আপনাকে বুঝতে হবে আপনি একজনকে পছন্দ করে বসে আছেন যাদের সাথে আপনার লেবেল কিছুতেই যায় না, সে পাঁচ তলা ফ্লাট আর আপনি তার পাশে চালের ঘরে। সে কাশ্মীরি আঙ্গুর তো আপনি বাংলাদেশে ইসুক নাবের, তাহলে তোমার কাজ হবে না যদিও ভালোবাসা অন্ধ। যে মেয়ে এত সুন্দর যে আপনি তার সাথে রিলেশন কর কথা স্বপ্নেও ভাবেন না দেখবেন সেই মেয়ে ও এমন একজনের সাথে রিলেশন করে বসে আছে যাকে দেখলে আপনার মনে হবে, এই ফকিরের হাতে আইফোন কি করে আসলো? সবার কপালে তো আর লটারি লাগে না রে মামা। আর্টিকেলটি পড়ে এ পর্যন্ত এসেছেন। তার মানে আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। তাই প্লিজ আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

Leave a Comment