1. riyaakhter747@gmail.com : রিয়া আক্তার : রিয়া আক্তার
পছন্দের মেয়েটি পাত্তা দিচ্ছে না? যে কাজগুলো করতে পারেন
মেয়েরা পাত্তা না দিলে কি করবেন
পছন্দের মেয়েটি পাত্তা দিচ্ছে না? যে কাজগুলো করতে পারেন

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কোনো মেয়েরা পাত্তা না দিলে কি করবেন?। আপনাকে যদি কোন মেয়ে রিজেক্ট করে অথবা আপনার প্রপোজ একসেপ্ট না করে বা আপনাকে মূল্য দিতে চাচ্ছে না আপনাকে সব সময় এড়িয়ে যাচ্ছে। তাহলে আপনাকে কি করতে হবে আজ আমি তা নিয়ে আলোচনা করব।

তার আগে বলে রাখি আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিচে একটি ভিডিও এড করে দিয়েছি। আপনি চাইলে পুরো ভিডিওটি ধৈর্য সহকারে দেখতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার সমাধান পেয়ে যাবেন ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

পছন্দের মেয়েটি পাত্তা দিচ্ছে না? যে কাজগুলো করতে পারেন

অনেক সময় দেখা যায় আপনার ক্রাশ আপনাকে পাত্তা দিচ্ছে না। আপনাকে আপনার ভালোবাসাকে কোন মূল্য দিচ্ছে না। সে আপনার মূল্য বুঝুক আপনাকে পাত্তা দিক আপনার পেছনে ছোট এমনটা আপনিও চান। কিন্তু সেটা কিভাবে তা আপনার জানা নেই। চিন্তা করবেন না আমরা আপনাকে আজকের এই আর্টিকেলে মাত্র দুটি কৌশল শিখিয়ে দেবো। যেটি কাজে লাগে আপনি খুব সহজে মেয়েটির সামনে নিজেকে ইম্পর্টেন্স হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন।

পয়েন্ট নাম্বার ১ স্টপ করে দিন

এতদিন আপনি তার পিছনে যা যা পাগলামো করেছেন বা করতেছেন সবকিছু বন্ধ করে দিন। তার সামান্য একটু রিপ্লাই পাওয়ার জন্য মেসেজের পর মেসেজ করে যান তার সাথে এক মিনিট কথা বলার জন্য ফোনের পর ফোন করেন এবং তাকে একবার দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা কোথাও অপেক্ষা করেন। তার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য সরির পর সরি বলে যান, তাকে রাজি করানোর জন্য হাতজোড় করে প্লিজ প্লিজ করে যান, তার কাছে প্রতিনিয়ত ভালোবাসা ভিক্ষা চান ইত্যাদি এমন আরো যা যা করেন সবকিছু এখনই বন্ধ করে দিন। জানি এটা শুনে অনেকের মাথায় এখনই বাজ করতে পারে। আপনি হয়তো ভাবতেছেন এসব করে একটু হলেও পাত্তা পাই আর এসব করা বন্ধ করে দিলে তো পাত্তাই পাব না।

তাহলে জেনে নিন আপনার জাস্ট এই ভাবনাটার জন্যই সে আপনাকে পাগলা কুত্তার মতো পিছনে ঘুরানো সুযোগ পায়। আর আপনি যতদিন এই ভাবনা থেকে সরে আসতে পারবেন না বা এগুলো করা বন্ধ না করবেন ততদিন পর্যন্ত সে আপনাকে কোন মূল্যই দিবে না। কারণ আপনি এসব করে নিজেই তো নিজের মূল্য নিজে নামাতে শুরু করেছেন। সুতরাং তার চোখে আপনার মূল্য দিনকে দিন কমতেই থাকবে।

এখন বলতে পারেন এসব করার চেষ্টা করেও যদি সত্যি যে লাভ হবে তার কি গ্যারান্টি আছে? তো এতদিন ধরে যে এসব করলেন তো এসব করে কি কোন লাভ পেয়েছেন? জানি আপনি কোন লাভই পাননি বরং তার চোখে দিনকে দিন আপনি ছোট হয়ে গেছেন তার যদি আপনার সম্মান একদম মাটিতে মিশে গিয়েছে। ফলাফল শিয়া আজ আপনাকে আর বিন্দুমাত্র সম্মান করে না আপনাকে আর মানুষই মনে করে না। কিন্তু আপনি যদি সবকিছু বন্ধ করে দেন। তখন তার চোখে আপনার সম্মানটা একটু একটু করে বাড়তে থাকবে।

কেননা সে আপনার শূন্যতা একটু একটু করে বুঝতে থাকে এবং সে একটু একটু করে আপনাকে মিস করতে থাকবে। আপনি যখন তার থেকে সরে আসবেন তখন সে আপনার ভালোবাসাটা ঠিকই অনুভব করতে পারবে। আপনি এতদিন ধরে তার পেছনে পাগলের মত ছুটে যাচ্ছেন। আর সে আপনাকে অবহেলা করে যাচ্ছে। এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এখন হঠাৎ করে আপনি যদি এসব যখন বন্ধ করে দিবেন। তখন সে স্বাভাবিকভাবে একটা টেনশনে পড়ে যাবে আপনি তার পিছনে ছুটছেন না কেন এই ভেবে সে ছটফট করতে থাকবে। তখন একটা সময় দেখবেন সেই আপনার পিঁছু ছুটতে শুরু করেছে।

পয়েন্ট নাম্বার ২ নিজের লেভেল বাড়ান 

সে আপনাকে পাত্তা দিচ্ছে না। আপনাকে অবহেলা করতেছে। আপনার প্রপোজ বারবার সে রিজেক্ট করে দিচ্ছে এবং আপনাকে অপমান করছে। তারমানে আপনি ১০০% এটা কনফার্ম থাকেন যে সে আপনাকে তার যোগ্য মনে করতেছে না। কারণ সব মানুষই নিজের বরাবর বা নিজের চেয়ে উপরের লেভেলের মানুষকে বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড হিসেবে পেতে চায়। আর তাছাড়া মানুষকে আবার নতুন নিজের চেয়ে নিচের লেভেলের মানুষকে অবহেলা করার সাহস পায়।

তাই আপনি যদি চান সেই মেয়েটি আপনার পেছনে গ্রুপ এবং আপনাকে পাত্তা দিক। তাহলে এর একটাই উপায় আপনার লেভেল কে বলতে পারেন আপনার যোগ্যতাকে বাড়াতে হবে এবং সেটা যে কোন অ্যাঙ্গেলে হতে পারে। যেমন সেটা হতে পারে নিজের অ্যাটিটিউড বাড়ানো অথবা নিজের সম্মান বাড়ানো অথবা নিজের চেহারাকে সুন্দর করা। বিভিন্ন কাজে সফলতা অর্জন করা অথবা টাকা ইনকাম করা বা ভালো একটি ক্যারিয়ার তৈরি করা। অথবা সেটা হতে পারে অনলাইনে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করো ইত্যাদি ইত্যাদি।

এভাবে আপনি চাইলে নিজের লেভেল টাকে বাড়াতে পারেন আর যেদিন আপনার লেভেলটাকে তার বরাবর নিয়ে যেতে পারবেন বা তার উপরে নিয়ে যেতে পারবেন সেদিন তার আর সাহস হবে না আপনাকে অবহেলা করার। তখন সে আপনাকে ইগনোর করার আগে ১০০ বার ভাববে এটাই বাস্তবতা।

যাইহোক অনেক কথা বলে ফেলেছি আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর আর্টিকেটে যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার ফ্রেন্ডের মাঝে শেয়ার করবেন এবং আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটে নতুন হয়ে থাকেন তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। এছাড়া চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে পারেন।

আমার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করব
About The Author
রিয়া আক্তার
আমি রিয়া আক্তার। মেয়ে পটানোর থেরাপি ওয়েবসাইটের সকল আর্টিকেল আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি। আমি চাই প্রত্যেকটা মানুষ যাতে তার প্রিয়জনের কাছে তার ভালোবাসার কথা বলতে পারে ও প্রিয় জনকে ভালবাসতে পারে।