হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন? আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মেয়েদেরকে যে কথাগুলো কখনো বলবেন না। আজকের এই আর্টিকেলটি অন্য সকল আর্টিকেল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং আর্টিকেলটি একটু বড় হওয়ার সবাই ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন। কেননা যাদের গার্লফ্রেন্ড আছে অথবা যারা রিলেশন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
মেয়ে পটাতে গিয়ে কিছু কাজ আপনারা ভুলেও করবেন না অর্থাৎ মেয়ের পটাতে গিয়ে কোন কাজগুলো করলে যে কোন মেয়ে পটাতে পারবেন না। সেগুলো আজ আমরা আলোচনা করব। এখানে পুরো বিষয়টি নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া নিচে পুরো পোস্টটি বিস্তারিত ভাবে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমাদের মত অলরেডি যারা রিলেশন করছেন অথবা রিলেশন করতে চাচ্ছেন। তারা কখনো নিজেদের গার্লফ্রেন্ডকে অথবা অন্য কোন মেয়েকে এ কথাগুলো বলবেন না। কিছু কথা আছে যেগুলো বললে মেয়েরা খুব কষ্ট পায় এবং আপনাকে প্রচন্ড ঘৃণা করে ও অবিশ্বাস করতে থাকে এবং একটা পর্যায়ে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। আজ আমরা আপনাদের সাথে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এই আর্টিকেলটি মূলত দুটি কারণে আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছি তার মধ্যে একটি কারণ হলো যারা মেয়ে পটাতে গিয়ে না বুঝে অনেক বড় বড় ভুল করে বসে।
এদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে আজকে আমি তাদের সকল ভুল ধরিয়ে দেবো এবং আরেকটি কারণ হলো মেয়ে পটাতে গিয়ে ছেলেদের এসব ভুলগুলো দেখলে যে কারোই রাগ উঠবে তাই।
আমি দেখেছি প্রায় ছেলে যে যখন কোন মেয়ের সাথে প্রেম করতে চায় তখন তাকে ডাইরেক্ট প্রপোজ না করে তাকে আকার ইঙ্গিত অথবা ইংরেজিতে এটা সেটা বোঝানোর চেষ্টা করে এবং এজন্য তারা এই কথাগুলো বলে থাকে। প্লিজ একটা মেয়ে খুঁজে দাও না প্রেম করবো। অথবা মেয়েটিকে বলবে আচ্ছা তোমার কোন সিঙ্গেল বান্ধবী নাই। মেয়ে বলবে কেন তখন সে বলবে প্রেম করতাম আর কি? আর এটা বলে সব ছেলেরাই মনে মনে ভাবে মেয়েটি ভাবে আর এই ছেলেটা কত অসহায়। এ প্রেম করতে চাচ্ছে অথচ প্রেম করার জন্য মেয়ে পাচ্ছে না। ইস ছেলেটা কত কষ্ট। তাই এই কষ্ট দূর করার জন্য আমার এই ছেলেটার সাথে প্রেম করার দরকার। আর তখনই মেয়েটির জট করে বলে দেবে আমি তোমার সাথে প্রেম করতে রাজি আছি। কি এমনটাই ভাবেন তো? আরে ভাই এটা বলে আপনি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরেছেন ।
আপনার এমন কথা শুনে মেয়েটি ভেবে নেবে আপনি কেমন পুরুষ যে আজও সিঙ্গেল পড়ে আছেন। আপনি এখন পর্যন্ত নিজে একটা গার্লফ্রেন্ড জোগাড় করতে পারেন নাই। আবার একটা মেয়ের কাছে রিকোয়েস্ট করতেছেন এটা গার্লফ্রেন্ড জোগাড় করে দেওয়ার জন্য। আপনার লজ্জা লাগেনা? মেয়েটি বুঝে নেবে আপনি একটা অপদার্থ ছেলে এবং মেয়েটি ঠিকই ভেবে নেয় যে আপনি একটা গার্লফ্রেন্ড পটানোর জন্য তার পা ধরতেছেন। তারমানে আপনার মাঝে পুরুষত্বের গুনাগুন বলতে কিছুই নেই। না হলে আপনি গার্লফ্রেন্ড জোটাতে পারেননি কেন।
যেসব ছেলে আবার মেয়েদের সাথে কথা বলার একটু সুযোগ পেলেই দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ফেলে অসহায়ের মত করে বলে, আজও সিঙ্গেল হয়ে আসি। হায়রে কপাল আজ একটা প্রেম করতে পারলাম না। আপনি আপনি আপনার কপালে দোষ দেন কেন মেয়েদের সামনে আপনি নিজে নিজের সম্মান নষ্ট করেছেন এবং এখন আবার কপালের দোষ দিতেছেন। প্রথমে আগে নিজের সম্মান দিতে শিখুন তবে মেয়েরা আপনাকে সম্মান দেবে। আর আপনি যদি নিজেই আপনার সম্মান নষ্ট করেন তবে মেয়েরা আপনাদেরকে সম্মান দেবে না আর মেয়েরা যাকে সম্মান দেয় না তাকে তো ভালোবাসা প্রশ্ন আসেনা।
তাই আগে নিজেই নিজেকে মূল্য দিতে শিখবেন। তবে মেয়ে আপনাকে মূল্য দেবে এবং এখন আপনার কাছে আরেকটি প্রশ্ন থাকতে পারে। সেটা হলো তাহলে কি করব? মেয়েটিকে যা সাহস করে সরাসরি বলতে পারি না যে আমি তোমার সাথে প্রেম করতে চাই। তাই আকার ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করি যে আমি সিঙ্গেল আমি প্রেম চাই এবং আমিও চাই তার সাথে রিলেশন করতে। বিষয়টা বুঝতে পেরেছি কিন্তু আপনি কি জানেন মেয়েরা সিঙ্গেল ছেলে মেয়ে চেয়ে বড় মিঙ্গেল অর্থ যারা অলরেডি সম্পর্ক করে অথবা সম্পর্ক করেছে এমন ছেলেদের সাথে রিলেশন করতে বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে।
কথাটা শুনে আপনার মাথা ঘুরে গেল তাই না? অবাক হওয়ার কিছু নেই। সত্য অবিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। এজন্যই আপনি দেখবেন যে ছেলেগুলো অলরেডি রিলেশন করে। এদের রিলেশনের অভাব হয় না। এদের গার্লফ্রেন্ডের অভাব নাই এবং এর পিছনে মেয়েদের লাইন লেগে থাকে। আর যারা রিলেশন করে না সিঙ্গেল পড়ে থাকে, এদের দিকে মেয়েরা ফিরেও তাকায় না। অথচ যে ছেলেটি প্রকাশ্যে রিলেশন করে বেড়ায়, সেই ছেলেটি আজ একজনের সাথে তো কাল অন্যজনের সাথে এবং অনেক মেয়ে রিলেশন করতে আগ্রহী।
এদের জীবনের গার্লফ্রেন্ডের অভাব হয় না কারণ হচ্ছে মেয়েরা তাকে বয় ফ্রেন্ড হিসেবে পেতে চায় যে ছেলের পিছনে মেয়েরা লাইন ধরে আছে এবং যে ছেলের ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি। বিষয়টা আমি আপনাদেরকে একটা উদাহরণ দেই তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন। মনে করুন, একটা লোক তার সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল বিক্রি করতে চাচ্ছে। কিন্তু সে বিক্রি করতে পারতেছে না। এমন সময় আপনারও মোবাইল নাই। তাই আপনি সে মোবাইলটা কেনার কথা ভাবছেন এবং আপনি নিজে মোবাইলটিকে অনেক সময় নিয়ে ঘেটে ঘটে দেখবেন এবং মোবাইলটি বিক্রেতা যদি পরিচিত হয়ে থাকে তবে আপনি বলবেন দুই একদিন ইউজ করে দেখে ভালো লাগলে নেব।
তারপরও দামদর করার সময় আপনি তেমন বেশি আগ্রহ দেখান না যাযা দাম তার অর্ধেক দান করবেন। কারণ আপনি জানেন এটা কেনার জন্য অন্য কেউ আগ্রহী নয় এবং আপনি তাই গা ছেড়ে দিয়ে থাকবেন। কিন্তু মোবাইলটা যদি কেনার জন্য অনেক আগ্রহ দেখায় এবং অনেকেই দামদর করতে থাকে। তাহলে আপনি চেষ্টা করতে থাকবেন যে মোবাইলটি অন্য কেউ কেনার আগে আপনি কেনে ফেলতে পারেন। কেননা তখন আপনার মোবাইলটি কেনার জন্য আপনার ভিতরে আগ্রহ থাকবে।
আশা করি আমি উদাহরণ টা দিয়ে আসলে কি বুঝাতে চেয়েছি সেটা বুঝতে পেরেছেন। তাই এখন থেকে ভুলেও মেয়েদের সামনে নিজেকে কখনো ছোট করবেন না। কেননা আপনি যদি মেয়েটির সামনে নিজেকে ছোট করে থাকেন এবং মেয়েটি যদি আপনাকে ভালোবেসে থাকে তবে সে ভাও খেতে থাকবে এবং তার হাব ভাব বেড়ে যেতে থাকবে। তখন আপনি সহজে মেয়েটিকে পটাতে পারবেন না। তাই এখন থেকে আর এই কাজটি করবেন না এবং মেয়েদের সামনে নিজের সম্মান কখনো বিলিয়ে দিবেন না।
হাটি কেটে যদি ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং এ ধরনের আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। ধন্যবাদ।