এই কৌশলটি কাজে লাগান মেয়ে নিজে আপনাকে পটাতে চাইবে

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব কোন কৌশলটি কাজে লাগালে মেয়ে নিজে আপনাকে পটাতে চাইবে? সাধারণত আপনি সব সময় নিজে থেকে মেয়েদের সাথে রিলেশন করার আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন। কিন্তু মেয়েরা আপনার সাথে বিন্দু পরিমাণ রিলেশন করার আগ্রহ দেখায় না। অথবা আপনি একটা মেয়ের প্রতি ইন্টারেস্টেড দেখান। কিন্তু আপনি মেয়েটির উপর যখনই ইন্টারেস্ট দেখাবেন তখনই মেয়েটি আস্তে আস্তে আপনার থেকে দূরে সরে যায়। এটা শুধুমাত্র আপনি ৯০% ছেলেদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে।

  • কিন্তু এটা কেন হয়?
  • এটার সমাধান কি?
  • মেয়ে নিজে থেকে কিভাবে পটবে?

আজ আমরা এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। সুতরাং পুরো আর্টিকেলটি একটু বড় হবে। তাই কষ্ট করে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

এই কৌশলটি কাজে লাগান মেয়ে নিজে আপনাকে পটাতে চাইবে

আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা একটি ভিডিও এড করে দিয়েছি। যেখানে ঠিক কি কাজটি করলে মেয়ে নিজে থেকে আপনাকে পটাতে চাইবে এ সংক্রান্ত একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিচে পুরো বিষয়টি আমরা ধাপে ধাপে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছি  আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনার যদি এই আর্টিকেল নিয়ে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিবেন। আমরা দ্রুত আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

মেয়ে নিজে আপনাকে পটাতে চাইবে

যে মেয়েটিকে আপনি পটাতে চান তার সাথে শুরু থেকে কিভাবে রিলেশন করলে সে নিজে আপনার সাথে প্রেম করতে আগ্রহ হবে। এই পুরো প্রসেসটি মূলত তিনটি ধাপে আমরা আলোচনা করব।

স্টেপ নাম্বার ১, মেয়েটিকে বন্ধু বানান

মেয়েটিকে গার্লফ্রেন্ড বানানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে মেয়েটিকে আগে বন্ধু বানানোর চেষ্টা করুন। আর হ্যাঁ কোন মেয়েকে পটাতে চান তো সবচেয়ে বুদ্ধিমান কাজ হল প্রথমে আপনি তাকে বন্ধু বানান। তার সাথে আগে পুরোদমে বন্ধুত্বর আচরণ করুন। মেয়েটিকে যে আপনি পছন্দ করেন এবং মেয়েটির সাথে যে আপনি রিলেশন করতে চান। সেটা কোনোভাবেই মেয়েটাকে বুঝতে না দিয়ে মেয়েটির সাথে একদম ফ্রেন্ড এর মত করে কথা বলুন। বিষয়টা এমন লাগে যেন আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড। অনেক ছেলে আছে যারা মেয়েকেপছন্দ মেয়ে পটাতে গিয়ে, মেয়েটিকে ক্রাশ মনে করে, নিজের জান মনে করে, মেয়েটিকে ছাড়া বাঁচবে না ইত্যাদি আরো কি কি মনে করে মেয়েটি জন্য এতটাই পাগল হয়ে যায়।

আর মেয়েটিকে পটানোর জন্য এতটাই উঠে পড়ে লাগে যে মেয়েটির সামনে একদম ফকিরের মত ব্যবহার শুরু করে দেয়। আর তখনই মেয়েটি খুব সহজে বুঝে যায় এই ছেলেটি তাকে পটানোর ধান্দায় আছে। আর এখান থেকে আপনার সকল প্রবলেম শুরু হয়ে যায়। যেমন মেয়েটিকে যেটা বলুন না কেন, মেয়েটির জন্য যেটাই করুন না কেন, মেয়েটি তখন মনে করে মনে করলে তাকে আপনি পটানোর জন্য এসব করতেছেন। তারপর আর কি? সে আপনাকে পাত্তা দিতে চায় না এবং আপনার কোন বিষয়ে সিরিয়াসলি নিতে চায় না। তখন আপনি তাকে যত বোঝানোর চেষ্টা করেন যে আপনি তাকে ভালবাসেন। বাট সে তখন আর এটা বুঝতে চায় না।

তখন সে আপনার কোন কথাই কানেই নেই না এবং সে আপনার কোন মেসেজের রিপ্লাই দেয় না। মেয়ে আপনাকে নাকের দড়ি দিয়ে পিছনে ঘোরানো শুরু করে দেয়। দুনিয়ার যত প্রবলেম আছে সব যেন তখন এখান থেকে শুরু হয়ে যায়। তাই কোন ভাবে মেয়েটিকে বুঝতে দেওয়া যাবে না যে আপনি তাকে ভালোবাসেন অথবা তার সাথে আপনি রিলেশন করতে চান। তাই কোনভাবেই মেয়েকে এটা বুঝতে দেওয়া যাবে না যে আপনি তাকে পটানোর চেষ্টা করছেন। যদি কোন কারণে মেয়েটি এটা শুরুতে বুঝে যায়। তাহলে মনে করুন, আপনি নিজে থেকে মেয়েটিকে বাঁশ ঝাড়ের ঠিকানা দিয়ে দিলেন। সাথে সাথে মেয়েটিকে দা কুড়াল করে ধরিয়ে দিলেন। তারপর আর কি মেয়েটির সেই বাঁশঝাড়ের সকল বাঁশ আপনাকে দিয়ে দেব।

স্টেপ ২ মেয়েটির বিশ্বাস অর্জন করুন

যেকোনো মেয়েকে পটানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ হলো মেয়েটির বিশ্বাস অর্জন করা। প্রায় ছেলে এ বিষয়টি জানে না এবং এই বিষয়টির উপর অধিকাংশ ছেলে নজর দিতে চায়না। অথচ আপনি যদি কোন মেয়ের বিশ্বাস অর্জন করতে না পারেন। তাহলে সেই মেয়ে জীবনে আপনি পটাতে পারবেন না। এটা আমি আপনাকে ১০০% গ্যারান্টি দিলাম। কারণ মেয়েটি আপনাকে বিশ্বাস করলে তবেই তো সে আপনার সাথে ফ্রি মাইন্ডে কথা বলবে। আর তার মনের কথাগুলো আপনাকে বলতে চাইবে।

যখন মেয়েটি আপনাকে বিশ্বাস করবে। তখন সে আপনার সাথে ঘুরতে এবং আপনার সাথে সব সময় সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। আপনার সাথে রিলেশন করার একটা সময় সাহস পেয়ে যাবে। আপনার উপর ধীরে ধীরে মেয়েটি ভরসা করতে পারবে। আর আপনি যখন মেয়েটির বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন। তখন কনফার্ম হয়ে যান আপনার কাজ 90% হয়ে গিয়েছে।

স্টেপ নাম্বার ৩ মেয়েটিকে সময় দেওয়া কমিয়ে দিন

প্রথম ও দ্বিতীয় স্টেপ কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। আপনি মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং ধীরে ধীরে মেয়েটির বিশ্বাস পুরোপুরি অর্জন করে ফেলেছেন। এরপর আপনাকে একটি কাজ করতে হবে।আপনি মেয়েটির সাথে যে ২৪ ঘন্টা সময় দিবেন আমরা এমনটা বলছি না। আমি আপনাকে বলছি যে আপনি মেয়েটিকে অল্প সময় দিবেন কিন্তু যতটুকু সময় দিবেন পুরো জমিয়ে দেবেন। অর্থাৎ আপনি মেয়েটিকে যতটুকু সময় দেবেন সে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি মেয়েটিকে কথার মাধ্যমে একবারে মাতিয়ে তুলবেন। মেয়েটির সাথে আপনার কথা বলার আগ্রহ থাকতে থাকতে আপনি নিজে কথা শেষ করে আপনি আগে বাই বলে দিবেন।

যাতে করে মেয়েটির আপনার সাথে কথা বলার আগ্রহ থেকে যায় এবং নেক্সটে মেয়েটি আপনার সাথে কথা বলতে আরও বেশি আগ্রহ দেখায়। এছাড়া অন্য ছেলেরা যেখানে মেয়েদের সাথে কথা বলার জন্য একদম পাগল হয়ে যায়। একবার কথা বলার সুযোগ করে আর ছাড়তে চায় না। সেখানে আপনি উল্টোটা করবেন। তখন মেয়েটি ক্লিয়ার বুঝতে পারবেন আপনি অন্য সব ছেলেদের থেকে আলাদা আপনি কোন ইন্টারেস্ট দেখেন না। সাবধান মেয়েটিকে কিন্তু আপনার এটা বোঝাতে হবে যে তোমার সাথে কথা বলতে আমার খুব ভালো লাগে। তোমার সাথে কথা বলা খুব মজা পায় বাট আমি অনেক বিজি মানুষ।আমার পড়াশোনা আছে ও কাজ আছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

স্টেপ নাম্বার ৪ এবার তিনটি কাজ শুরু করুন

তৃতীয় স্টেপে আপনাকে মূলত আপনাকে তিনটি কাজ করতে হবে এবং এই তিনটি কাজ খুব সাবধানে এবং নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে। কিভাবে করবেন তা আমরা নিচে বলে দিচ্ছি।

সুযোগ পেলেই মেয়েটির প্রশংসা করতে হবে। তবে আপনি মেয়েদের যতোটুকু প্রশংসা করবেন। সেটুকু অবশ্যই অন্য সব ছেলেদের থেকে ব্যতিক্রম হতে হবে। ধীরে ধীরে মেয়েটির সাথে ফ্লার্টিং করতে হবে বা লাইন মারতে হবে। তবে অবশ্যই সেটা লিমিট এর মধ্যে হতে হবে।

যাতে করে মেয়েটি আপনার লাইন মারা অথবা ফ্লার্টিং দেখে কনফার্ম হতে না পারে যে আপনি যাকে পটানোর চেষ্টা করতেছেন। 

আপনি মেয়েটিকে আসলেই পছন্দ করেন বা ভালবাসেন কিনা এটা নিয়ে মেয়েটিকে অনেক বড় কনফিউশনে ফেলে দিন। অর্থাৎ আপনার প্রশংসা করা, লাইন মারা, এসব দেখে মেয়েটির যেন কখন কখনও মনে হয় আপনি মনে হয় তাকে ভালোবাসেন। বাট আবার কখনো যেন মনে হয় আপনি তাকে ভালবাসেন বা বাসেন না। এটা নিয়ে যেন জটিল একটা কনফিউশনে পড়ে যায় মেয়েটি। তাই মেয়েটি তারে কনফিউশন দূর করার জন্য সব সময় আপনাকে সময় দিতে চাইবে। আপনার সাথে কথা বলতে চাইবে। আপনার মনের কথাগুলো জানার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে যাবে। এতে করে মেয়েটি আপনাকে সবসময় মিস করবে। ধীরে ধীরে মেয়েটির আপনার প্রতি একটা নেশা ধরে যাবে। আপনাকে ভালো লাগবে। আপনাকে খুব ভালোলাগা শুরু করবে তখন মেনে নিজে থেকে আপনাকে মেসেজ দিবে। আপনাকে কল করবে। আশা করি বাকিটা বুঝে গিয়েছেন।

আর্টিকেলে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment