মেয়ে সারারাত আপনার কথা ভাববে এই কাজটি করুন

এই কাজটি করুন মেয়ে সারারাত আপনার কথা ভাববে। যে কোন মেয়ের সম্পর্কে আধাঘণ্টা একঘন্টা ভেবে দেখুন তাকে নিয়ে চিন্তা করে দেখুন। দেখবেন একটু হলেও তার প্রেমে পড়ে যাবেন। তাকে আপনার ভালো লাগতে শুরু করবে। এটাই বাস্তবতা কারণ সাইকোলজি মতে একটা মানুষ কারো কথা যত ভাবে সে তার তত প্রেমে পড়ে যাবে।

এই কাজটি করুন মেয়ে সারারাত আপনার কথা ভাববে

 তাই আজকে আমি আপনাদেরকে এমন একটি কৌশল শেখাবো। মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় আপনি যদি এই কৌশলগুলো কাজে লাগান, তো মেয়ে সারাদিন বা সারারাত আপনার কথা ভাবতে বাধ্য হবে। মেয়ের মাথায় সারাক্ষণ আপনার কথা ঘুরপাক খাবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল আপনি যদি কৌশল গুলো অনুসরণ করেন। তবে মেয়ে আপনার সাথে সবসময় কথা বলার জন্য ছটফট করবে। তাহলে মামা দেরি কেন চলো মাঠে নামা যাক। 

মেয়ে সারারাত আপনার কথা ভাববে

মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় কৌতুহল তৈরি করে কথা শেষ করুন। বুঝতে কষ্ট হচ্ছে চলন এর উদাহরণ সহকারে বুঝিয়ে বলছি। মেয়েদের জাতীয় সমস্যা হলো-তারা যে কোন ব্যাপারে জানার জন্য একটুতেই অতিরিক্ত কৌতুহলী হয়ে যায়। আর মেয়ের একমাত্র এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়াল গুলো ব্যবসা করে যাচ্ছে। এরা প্রতিটি পর্বের একদম শেষে একটা রহস্য তৈরি করে পর্ব শেষ দেয়। আর মেয়েরা এরপর কি হবে এটা নিয়ে তারা এতটা ভাবে যে তারা এসব ছেলের হলে প্রেমে পড়ে যায়।  তাদের সিরিয়ালের প্রতি নেশা ধরে যায়।

 তাই মামা আপনাকে ঠিক মেয়েদের এই গোপন যায়গায় হাত দিতে হবে। মেয়েদের দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে হবে। সেটা কি করে করতে হবে বলতেছি। আপনি যখন কোনো মেয়ের সাথে কথা বলেন, তখন আপনি এমন ভাবে সব কথা খুব সুন্দর করে শেষ করে তারপর বাই বলেন। যে কথা শেষ করার পর মেয়েটির আর আপনার সাথে কথা বলার মত আর কোন কৌতুহল থাকে না। তো মেয়েটা তাহলে পরের পর্ব দেখার আগ পর্যন্ত কেন ছটফট করবে।  আই মিন আপনার সাথে পরে আবার কথা বলার জন্যকেন ছটফট করবে। আপনার সাথে আবার কখন কথা হবে সেই অপেক্ষায় মেয়েটা কে ছটফট করাতে হবে। তবে মেয়েটা আপনার কথা সারাক্ষণ ভাববে। 

মেয়ে আপনার কথা ভাববে

তাই এখন থেকে আপনি যখন কোন মেয়ের সাথে কথা বলবেন তখন কথা শেষ করার আগে চেষ্টা করবেন এমন একটা গল্প বা এমন একটা কথা শুরু করার পুরোটা শোনার জন্য মেয়েটি পুরোদমে কৌতুহলী বা অস্থির হয়ে পড়ে। আর যখনই দেখবেন একদম পুরো দমে কৌতুহলী হয়ে পড়েছে, মেয়েটি খুব আগ্রহী হয়ে গেছে পুরো ঘটনা শোনার জন্য ঠিক তখনই হ্যাঁ ঠিক তখনই যেকোনো বাহানায় বা কোন ব্যস্ততা দেখিয়ে কথার মাঝ পথে হুট করেই কথা শেষ করবেন। যেমন মনে করুন আপনি মেয়েটিকে বললেন, আজকে রাতে না অনেক মজার একটা স্বপ্ন দেখছি। দেখার পর ঘুম থেকে উঠে মনে মনে হাসছিলাম। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানো স্বপ্ন ছিল তোমাকে নিয়ে। ব্যাস কাজ হয়ে গেছে এবার দেখুন মেয়েটি কেমনে ছটফট করে আপনার পুরো ঘটনা শোনার জন্য। তারপর আপনি কাহিনী বানিয়ে বানিয়ে বলতে থাকুন আর কাহিনীর আসল আকর্ষণের দিকে এগোতে থাকুন দেখুন, সেই মনোযোগ দিয়ে আপনার ঘটনাটা শোনার জন্য অপেক্ষা করতেছি।

 মূল আকর্ষণ টা আসবে ঠিক তখনই কাহিনীর মাঝপথে যে কোন ব্যস্ততা দেখিয়ে বলুন আজকে সময় হচ্ছে না পরে অন্যসময় বড় ঘটনা বলব বাই। এরপর এখান থেকে সরে যান তারপর মজা দেখুন মেয়ের মাথায় হাজারটা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকবে।  মূল আকর্ষণ টা কেমন হতে পারে বা এরপরে আসলে কি ঘটেছে আর স্বপ্নে কি এমন ঘটেছে যে টা দেখার পর সে ঘুম থেকে উঠে অনেক হেসেছে।  আচ্ছা এই স্বপ্ন নাকি আমিও ছিলাম তার মানে কি আমার সাথে ওসব কোন কিছু হয়েছে নাকি। হাজারো চিন্তাই মেয়েটি সারাটিদিন আপনাকে নিয়ে ভাববে। আপনার সাথে আবার কখন তার কথা হবে? আর সেই পুরো ঘটনাটা শুনবে সেই অপেক্ষায় সারাক্ষণ আপনাকে মিস করতে থাকবে।

 আর শুরুতেই তো বললাম কেউ কাউকে নিয়ে যত ভাববে সে তত তার প্রেমে পড়ে যাবে। এভাবে মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় আপনাকে কৌতুহল তৈরি করে হুট করে কথা শেষ করতে হবে। আশাকরি এখন আপনারা পুরো বিষয়টি ক্লিয়ার বুঝতে পেরেছেন।

মেয়ে সারারাত আপনার কথা ভাববে

 আর এই অভ্যাসটি আপনি যদি একবার আয়ত্ত করতে পারেন তো যে কোন মেয়েকে আপনি আপনার প্রেমে ফেলতে পারবেন বা যেকোনো মেয়েকে আপনার কথা ভাবতে বাধ্য করতে পারবেন। এখন আপনাদের মাথায় এই প্রশ্নটিই আসতে পারে আমি স্বপ্নের যে উদাহরণটা দিলাম এটা কেন দিলাম। আসলে এই উদাহরণটা দেওয়ার উদ্দেশ্য এই নয় যে আমি আপনাকে বলতেছি আপনাকেও মেয়েটিকে এটাই বলতে হবে। জাস্ট এই উদাহরণটা দিয়ে আপনাকে বোঝালাম যে কিভাবে কৌতুহল তৈরি করে কথা শেষ করতে হয় অর্থাৎ মূলকথা হলো কৌতুহল তৈরি করে কথা শেষ করা। আর এটা আপনি যেকোন ভাবে করতে পারেন। যেমন আপনি মেয়েটিকে বললেন তোমার তিনটে জিনিস আমার খুব খুব ভালো লাগে। তো এটা শোনার পর মেয়েটি অবশ্যই কৌতুহলী হয়ে যাবে। সেই তিনটি জিনিস কি কি? সেটা শুনার জন্য। তখন মনে করেন আপনি বললেন নাম্বার 

  • 1 তুমি খুব মিষ্টি করে কথা বল বা তুমি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে পারো। 
  • নাম্বার 2 তুমি এত সুন্দর তবুও তোমার মাঝে কোন অহংকার নেই।
  • নাম্বার তিন এটা বলা যাবে না তুমি মন খারাপ করতে পারো।

 ব্যাস মামা ইনজেকশন মেরে দিলেন এখন এই 3 নাম্বারটা না শোনা পর্যন্ত আমি এত রাতে ঘুমাতে পারবে না। আপনি হঠাৎ করে কোনো ব্যস্ততা দেখিয়ে হুট করে বাই দিয়ে উধাও। এবার আপনাকে মিস করতে থাকবে। তখন নাম্বারটা শুনতে চাইবে। তখন কি বলব তাতে কি আসে যায় সারাদিন আপনার কথা ভেবে আপনার থেকে এটা শোনার জন্য ছটফট করছে। আপনার সাথে আবার কখন কথা হবে সেই অপেক্ষায় আপনাকে মিস করেছে। 

আজকের পোস্টটি এই পর্যন্ত। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই ধরনের আরো নতুন নতুন তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment